সাপ্তাহিক বাজার করে সব কিছু ফ্রিজে গুঁজে রাখাই যেন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মাছ, মাংস কিংবা সবজি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ফ্রিজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি আমরা। তবে জানেন কি—কিছু নির্দিষ্ট খাবার ফ্রিজে রাখলে শুধু গুণগত মানই নষ্ট হয় না, স্বাদও একেবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়?
নিচে এমনই ৫টি সাধারণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো ভুল করেও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
১. পাউরুটি:
অনেকে ভাবেন, পাউরুটিতে ছত্রাক পড়া রোধ করতে ফ্রিজে রাখা সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু আসলে ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই পাউরুটি বা কেক জাতীয় খাবার ঠান্ডায় নয়, শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে রাখাই উত্তম।
২. আলু:
কাঁচা আলু ফ্রিজে রাখলে এর স্টার্চ ঠান্ডার সংস্পর্শে এসে শর্করায় রূপ নেয়, যা স্বাদ ও গঠন—দুইই নষ্ট করে। তাই আলু সংরক্ষণের জন্য অন্ধকার ও শুষ্ক জায়গায়, ঝুড়িতে রেখে দিন।
৩. পেঁয়াজ:
পেঁয়াজ খুব ঠান্ডা পরিবেশে দ্রুত পচে যায়। অনেকেই অর্ধেক কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রেখে দেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নেয়। কাটা পেঁয়াজ ব্যবহারের পর বাকি অংশ রেখে না দিয়ে পুরোটা একবারেই ব্যবহার করাই ভালো।
৪. মধু:
পিঁপড়ের ভয় কিংবা গরমের কারণে অনেকে মধু ফ্রিজে রাখেন। তবে এতে মধুর স্বাভাবিক স্বাদ ও গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। বরং পিঁপড়া থেকে বাঁচাতে এক বাটিতে জল দিয়ে তাতে মধুর শিশি বসিয়ে রাখুন।
৫. রসুন:
ফ্রিজে রাখা রসুনের স্বাদ ও গন্ধ একেবারেই বদলে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে ছত্রাক জন্মাতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই রসুনও ফ্রিজের বদলে শুষ্ক ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় সংরক্ষণ করুন।