দেশজুড়ে
স্টকে চার টন লবণ : বিক্রি না করায় ব্যবসায়ী
দেশজুড়ে
স্টকে চার টন লবণ : বিক্রি না করায় ব্যবসায়ী আটক
জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
হঠাৎ করে বিকেল থেকে ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে লবণের দাম বেড়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবে কান দিয়ে ক্রেতারা ভিড় করছে লবণের দোকান ও বাজারে। সুযোগ বুঝে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা প্যাকেট লবণ ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এমন কি বাজারে মোটা লবণ যা গরুর খাবারে ব্যবহার করা হয় সেই লবণের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অবৈধ মজুদ রোধে ঝিনাইদহের বাজারে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে শহরের বাঘাযতিন সড়ক, চাকলাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, পুরাতন হাটখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলিয়ে অবৈধভাবে লবণ স্টক করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে লবণ বিক্রি না করার অপরাধে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, সোমবার (১৮ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে ও ফেসবুকে লবণের মূল্যে বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রোধ ও গুজবকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা যেন অবৈধভাবে লবণের মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে তার স্টকে প্রায় সাড়ে চার টন লবণ রেখে ঝিনাইদহের বাজারে গুজব ছড়িয়েছেন লবণ নেই এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে লবণ দিচ্ছেন না। এ অপরাধে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন দোকানিকে দাম অতিরিক্ত না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, বাজারে লবণ সংকটের কথা বলে একটা গ্রুপ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে তিনি গোপনে বাজারে আসেন। গোপনে দেখেন যে প্রচুর পরিমাণে লবন কেনার হিড়িক পড়েছে। পরে খুচরা বিক্রেতারা জানান, কিছু ব্যবসায়ীরা লবণ মজুদ করে রেখেছেন।
তারা পাইকারিদের কাছে লবণ বিক্রি করছে না। এই কারণে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক বাজারে লবণ নেই। তখন তাদের সূত্র ধরে মোহাম্মদ আলী অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠান নামের এক মজুমদারের কথা জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তার কাছে কোনো লবণ মজুদ নেই সব শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলীর গুদামে এসে বিপুল পরিমাণে লবণ পাওয়া যায়। এবং তার প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, এনডিসি আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরএম
আটক
জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
হঠাৎ করে বিকেল থেকে ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে লবণের দাম বেড়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবে কান দিয়ে ক্রেতারা ভিড় করছে লবণের দোকান ও বাজারে। সুযোগ বুঝে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা প্যাকেট লবণ ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এমন কি বাজারে মোটা লবণ যা গরুর খাবারে ব্যবহার করা হয় সেই লবণের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অবৈধ মজুদ রোধে ঝিনাইদহের বাজারে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে শহরের বাঘাযতিন সড়ক, চাকলাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, পুরাতন হাটখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলিয়ে অবৈধভাবে লবণ স্টক করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে লবণ বিক্রি না করার অপরাধে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, সোমবার (১৮ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে ও ফেসবুকে লবণের মূল্যে বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রোধ ও গুজবকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা যেন অবৈধভাবে লবণের মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে তার স্টকে প্রায় সাড়ে চার টন লবণ রেখে ঝিনাইদহের বাজারে গুজব ছড়িয়েছেন লবণ নেই এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে লবণ দিচ্ছেন না। এ অপরাধে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন দোকানিকে দাম অতিরিক্ত না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, বাজারে লবণ সংকটের কথা বলে একটা গ্রুপ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে তিনি গোপনে বাজারে আসেন। গোপনে দেখেন যে প্রচুর পরিমাণে লবন কেনার হিড়িক পড়েছে। পরে খুচরা বিক্রেতারা জানান, কিছু ব্যবসায়ীরা লবণ মজুদ করে রেখেছেন।
তারা পাইকারিদের কাছে লবণ বিক্রি করছে না। এই কারণে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক বাজারে লবণ নেই। তখন তাদের সূত্র ধরে মোহাম্মদ আলী অ্যান্ড সন্স প্রতিষ্ঠান নামের এক মজুমদারের কথা জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তার কাছে কোনো লবণ মজুদ নেই সব শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলীর গুদামে এসে বিপুল পরিমাণে লবণ পাওয়া যায়। এবং তার প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস, এনডিসি আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরএম
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক