নির্বাচনী প্রচারে এক তরুণী কর্মীকে জোর করে চুম্বনের অভিযোগ উঠেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ বার ট্রাম্প নিজেই আইনজীবী মারফত একটি চুম্বনের ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে এসে দাবি করলেন, ‘জোর করে নয়, সে দিন চুম্বন করেছিলেন, তরুণীর সম্মতিতেই।’
ভিডিওটি বছর তিনেকের পুরনো। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় ওই ভিডিওটি তোলা বলে দাবি করা হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, ‘দু’জনের সম্মতিতেই ওই আবেগঘন কাণ্ডটি ঘটেছিল। এর মধ্যে বলপ্রয়োগ করার কোনো যুক্তি নেই।’
যদিও অভিযোগকারিণী আলভা জনসন দাবি করেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আচমকা আমার কাছে চলে আসেন। তার নিঃশ্বাস আমার মুখের উপর পড়ছিল। তখনই আমি বুঝতে পারি তিনি আমাকে চুমু খেতে আসছেন। আমি তৎক্ষণাৎ মুখ ঘুরিয়ে নিই। কিন্তু এর পরেও তিনি আমার গালে চুমু খান।’
প্রসঙ্গত, ওই বছর নির্বাচনী প্রচারে ফ্লোরিডার টাম্পাতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আলভা। ভিডিওতে দেখা যায়, আলভা বলছেন, ট্রাম্পের প্রচারের জন্য আটমাস বাড়ির বাইরে রয়েছেন তিনি। আচমকা তাঁকে চুম্বন করে অস্বস্তিতে ফেলে দেন প্রেসিডেন্ট। এই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আলভা।
কিন্তু ওই ভিডিওকেই অকাট্য প্রমাণ হিসাবে দাবি করে ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, ‘ওই ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের কর্মীকে জোর করে চুমু খাননি। এটা একটা পবিত্র আবেগের বহির্প্রকাশ মাত্র।’
তবে ওই ভিডিও প্রকাশ করে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার চেষ্টা করেও ফেঁসে গিয়েছেন ট্রাম্প। কারণ, আলভার আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেলের দাবি যে সর্বৈব সত্য, সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে ওই ভিডিও।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক