বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে পোশাকশিল্প ৪৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। রপ্তানি পণ্যের ৮৪ শতাংশ এ খাত থেকেই আসে। এ খাতে বর্তমানে যে সংকট চলছে সেটা সাময়িক। তবে আমাদের টিকে থাকতে হবে। টিকে থাকতে সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পপণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮৫ সালে আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন গার্মেন্টস খাতের সমস্ত কিছু দেশের বাইরে থেকে আসত। এমন কি- কার্টন, বোতাম, সুতা কন্টেইনার ভর্তি করে আসত। এখন সব আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে। আর আজকে বাংলাদেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা। আজকে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্প ও গার্মেন্টস শিল্পকে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। আমরা আপনারা সবাই এক ও অভিন্ন ‘
তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি এক্সেসরিজ না থাকত, বাইরের দেশ থেকে আনতে হতো, তাহলে কিন্তু রপ্তানি আয় কমে যেত। এই খাতে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। সবমিলিয়ে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এখন আমরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে শ্রীলংকা, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি। এ খাত থেকে সম্ভবত বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হচ্ছে।
এ সময় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, মেলার কো অর্গানাইজার এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে ও জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ভুঞ্জাসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক