টাঙ্গাইলে স্ত্রী মোছা. রিনা (১৬) তার স্বামী মো. আলমকে (১৮) তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। আলম তালাকের নোটিশ পেয়ে বেজায় খুশি। এই খুশিতে সে ৩ মণ দুধ দিয়ে গোসল করেছে। এমনকি দুই শতাধিক লোককে বাড়িতে দাওয়াত করে ভূরিভোজও করিয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) জেলার মধুপুরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত নয়ন মিয়ার ছেলে আলমের (১৮) সঙ্গে একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে রিনার (১৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ে পক্ষ আলমকে বাড়িতে ডেকে গোপনে বিয়ে পড়িয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, যৌতুক থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ বিয়ে আলমের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের নিমন্ত্রণ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় গ্রামবাসীও রুষ্ট ছিল। বিয়ের পর উভয় পক্ষেই শুরু হয় অশান্তি। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে গ্রামে দুই পক্ষে দেখা দেয় উত্তেজনা। শান্তি স্থাপনে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী রিনা পরিবারের সম্মতিতে গত রবিবার আইনিভাবে আলমের কাছে তালাকনামা পাঠায়। এতে আলমসহ অনেকেই খুশি। দীর্ঘ দিনের ঝুলে থাকা বিরোধের নিষ্পত্তি হওয়ায় পাশের বাজার থেকে ৩ মণ মহিষের দুধ কিনে সোমবার আলমকে গোসল করায় তার পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে দুপুরে গ্রামের দুই শতাধিক মানুষকে ভূরিভোজ করানো হয়।
এ ব্যাপারে বর আলম বলেন, রিনার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। যেটি তার পরিবার গোপন রেখেছিল। তালাকের মাধ্যমে গ্রামে শান্তি ফিরে আসায় এমনটি করেছি।
রিনার দাদা মুক্তার হোসেন বলেন, আলম নেশাগ্রস্ত। প্রায়ই রিনাকে নির্যাতন করত। এ জন্য বৈধ নিয়মে রিনাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চল এলাকায় প্রায় সমসংখ্যক গারো ও বাঙালিদের নিয়ে গঠিত জাঙ্গালিয়া গ্রামটি যোগাযোগ ও শিক্ষাদীক্ষায় পশ্চাৎপদ। বর্তমান সরকারের আমলে কিছুটা রাস্তা পাকা হয়েছে ও গ্রামটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। তবে নারী শিক্ষার করুণ হাল। বাল্য বিয়ে হয় হরদম।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক