ঢাকা    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং | ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সাকিব বিশ্বকাপের অবিসংবাদিত সেরা: টেলিগ্রাফের বিশ্লেষণ

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯, ৯.০১ পূর্বাহ্ণ
  • ৩২০ বার পঠিত

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। দুটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্রই চলছে সাকিব-বন্দনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ তো এক কাঠি সরেস। ঐতিহ্যবাহী এবং খ্যাতনামা এ সংবাদমাধ্যম কাল সাকিবকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে, যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ তারকা সাকিব আল হাসান কেন অবিসংবাদিতভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়’।

 

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। সে প্রতিবেদনটির চুম্বক অংশ প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো…

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। দুটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি করে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্রই চলছে সাকিব-বন্দনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ তো এক কাঠি সরেস। ঐতিহ্যবাহী এবং খ্যাতনামা এ সংবাদমাধ্যম কাল সাকিবকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে, যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ তারকা সাকিব আল হাসান কেন অবিসংবাদিতভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়’।

প্রতিবেদনের শুরুতেই লেখা হয়েছে, ‘এ বছর বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৫০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে শুধু একজনই যুক্তিসংগতভাবে তাঁর দেশের সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলার। তিনি সাকিব আল হাসান, ২০১৯ বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত অবিসংবাদিত সেরা খেলোয়াড়।’

এরপর বিশ্লেষণের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘সাকিবকে একটু খাটো করে দেখার প্রবণতা আছে। বিষয়টি কৌতূহল-জাগানিয়া। কারণ, সে যাদের সঙ্গে কিংবা বিপক্ষে খেলছে, সে জন্য তাকে খাটো করে দেখা হয় না। তার দুর্দান্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের উত্থান দেখা ভক্তদের জন্যও নয়। কিংবা আইপিএলে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন অথবা ২০১৫ সালে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একই সময়ে তিন সংস্করণে শীর্ষে থাকার জন্য নয়। আসলে সাকিবকে খাটো করে দেখার মধ্য দিয়ে একটি সত্যও উঁকি দেয়: সাকিব ক্রিকেটের কোনো বড় দলের খেলোয়াড় নন, এতে যে–কেউ সহজেই তাঁর বৈচিত্র্যময় প্রতিভা এড়িয়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন অস্ট্রেলিয়া, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছে।’

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে সাকিবের ক্রিকেটে আসার যোগসূত্রও রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পেল, সাকিবও জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। এ দুটো ঘটনাকে একসূত্রে গেঁথেছে টেলিগ্রাফ। সংবাদমাধ্যমটির মতে, সাকিবের ক্রিকেটে আসা বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা বিকাশে পরবর্তী ভিত্তি।

বিকেএসপিতে ঢোকার ছয় বছর পর জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে সাকিবের। বাংলাদেশ তখন টুকটাক জেতা শুরু করেছে। অর্থাৎ টানা ৪৭ ওয়ানডে (টেলিগ্রাফে লেখা হয়েছে ৪৫ ম্যাচ) হারের সেই অন্ধকার সময়ের দুই বছর পর জাতীয় দলে অভিষেক সাকিবের। প্রতিবেদনে তারপর লেখা হয়েছে, জাতীয় দলে ঢুকেই সহজাত ব্যাটিং আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং দিয়ে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন সাকিব। অতীত হারের ক্ষত মোচন করে এনে দেন স্বাধীনতা। এরপর বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ‘২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কানাডা ও কেনিয়ার কাছে হেরেছিল; ২০০৭ সংস্করণে সাকিবের ৫৩ রানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতকে হারাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়েও দুটি উইকেট নিয়েছিলেন টপ অর্ডারের।’

তখন বড় দলগুলোর বিপক্ষে অনিয়মিত জয়ের দেখা পেলেও অবিশ্বাস্য রকম অধারাবাহিক ছিল বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের দুর্বল ফিটনেস থেকে দুর্নীতি আর পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে ভুগেছে দল। সাকিব এর মধ্যেও উৎকর্ষের ধ্রুবতারা হিসেবে জ্বলেছেন, এমন কথাই লেখা হয়েছে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে। ২০১২ এশিয়া কাপে সিরিজসেরা হওয়া থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনাল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় থেকে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা দিনগুলোর বেশির ভাগেই পারফর্ম করেছেন সাকিব।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সেরা খেলোয়াড়দের ওপর পারফরম্যান্সের চাপটা বেশি থাকে। সাকিব তাঁর আত্মবিশ্বাস, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং লড়াকু মানসিকতা দিয়ে সহজেই তা করে আসছেন। ইনিংসের মাঝে বল করার পাশাপাশি প্রায় নিয়ম করেই পাওয়ার প্লে ও শেষ দিকে বল করছেন। গত বছর থেকে তিনে ব্যাটিং শুরুর পর তাঁর গড় ৫৯.৬৮। এর মধ্যে টানা সেঞ্চুরি রয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। প্রতিবেদনে এসব কথা লেখার পাশাপাশি লেখাটি শেষ করা হয়েছে এভাবে, ‘তার এসব ইনিংসকেও ছাপিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২২ রান তাড়া করে জয়ের মুহূর্তটা, যেখানে দেশের ক্রিকেটে অবদানটা বোঝা যায়। যেন কিছুই হয়নি ভাসা-ভাসা আনন্দে সতীর্থের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রেখেছে। সব দেশ, স্থান, প্রদেশে সাকিব পারফর্ম করবে—এই প্রত্যাশা করা হয়। এবং এখন তার মতো দলও করছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য

এ জাতীয় আরো খবর.

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),

কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক

প্রধান কার্যালয়: ৫০৭/সি,  খিলগাও ঢাকা-১২১৯ । মোবাইল: ০১৭১৩৬১৫৫৩৩,০১৬১১২২৬৬৯৯ ইমেইল: contactbd7news@gmail.com
themebd7news6534333223
© All rights reserved 2016-2023, bd7news.com