ঢাকা    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং | ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সন্তানের আকিকা কেন করবেন, কীভাবে করবেন ? জেনে নিন

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯, ৭.৪৬ অপরাহ্ণ
  • ৩৮১ বার পঠিত

সন্তানের আকিকা কেন করবেন- আকিকার মাঝে দাওয়াত কোনো মূখ্য বিষয় নয়। বরং জন্তু যবেহ করাই আসল কাজ। যবেহের পর গোশত কাঁচা বা রান্না; যে কোনো ভাবেই বণ্টন করা যাবে।

ব্যক্তির সুবিধার দিকে শরীয়ত দু’ রকমেরই অবকাশ দিয়েছে। কাজেই এ ক্ষেত্রে আড়ম্বরের নামে বিলম্ব করা কখনই উচিত হবে না।

সন্তান সম্পর্কে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, জন্মের সপ্তম দিনে তাদের আকিকা করা। ছেলে সন্তান হলে তার পক্ষ থেকে দু’টি ছাগল বা বকরি জবেহ করা।

মেয়ে সন্তান হলে তার পক্ষ থেকে একটি ছাগল বা বকরি, অথবা কুরবানীর বড় জন্তুতে একটি অংশ দেওয়া। [মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩৬৩, সুনানে তিরমিযী : ১/২৭৮, সুনানে আবী দাউদ : ২/৩৯২, হাদীস নং : ২৮৩৪, সুনানে ইবনে মাজাহ : ১/২৩৮, হাদীস নং : ৩১৬২, সুনানে নাসায়ী : ২/১৮৭, হাদীস নং : ৪২২২]

এক বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের নাম রাখো। তার মাথার চুল কর্তন করো এবং তার আকিকা সম্পন্ন করো। [তিরমিযী শরীফ : ২/১১০, নাসাঈ শরীফ : ২/১৮৭]

একটি দুর্বল সনদের হাদিসে এসেছে, চুল পরিমাপ করে তার সমপরিমাণ রৌপ্য (বা মূল্য) সদকা করে দাও। [সুনানে তিরমিযী : ১/২৭৮, হাদীস নং : ১৫১৯]

কিছু কিছু হাদিসে এ কথা এসেছে যে, যতোক্ষণ সন্তানের আকিকার না করা হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত সে রোগ-ব্যাধি ও শয়তানের প্রকোপ থেকে নিরাপদ থাকে না। হাদীসের শব্দ হলো এ রূপ- ‘হযরত সামুরাহ ইবনে জুনদুব রাদি. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- সন্তান আকিকার পূর্ব পর্যন্ত বন্ধক থাকে।

কাজেই তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে আক্বীকা করতে হবে, নাম রাখতে হবে ও মাথার চুল মুণ্ডন করতে হবে। [সুনানে তিরমিযী : ১/২৭৮, হাদীস নং : ১৫২২, সুনানে ইবনে মাজাহ : ২/২২৮, হাদীস নং : ৩১৬৫, সুনানে নাসায়ী : ২/১৮৭, হাদীস নং : ৪২২৬, আবু দাউদ : ২/৩৯২, হাদীস নং : ২৮৩৭, মিরকাত : ৮/৭৮, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ : ১২/২২৬, ই‘লাউস সুনান : ১৭/১১৯]

উপরিউক্ত হাদীসসমূহ থেকে বুঝে আসে যে, আকিকা সন্তানের জন্যে শয়তানের প্রকোপ, নানা রোগ-ব্যধি থেকে নিরাপদ থাকার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঢাল। কাজেই যতো দ্রুত সম্ভব সন্তানের আকিকা সম্পন্ন করা দরকার।

বিনা কারণে দেরি করা সঙ্গত হবে না। আজকাল আমাদের সমাজে আকিকাকে কেন্দ্র করে নানা উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়। বড় অনুষ্ঠান ও সাড়ম্বর আয়োজনের নামে আকিকার ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব করা হয়।

অনেক সময় দেখা যায়, সন্তান প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়ে গেছে; অথচ এখনো তার আকিকা সম্পন্ন হয়নি। যার কারণে আকিকার মূল উদ্দেশ্যই হাত ছাড়া হয়ে যায়।

পরবর্তীকালে আয়োজিত আকিকা টি নিরেট রুসম হয়ে পালিত হয়। এগুলো কখনই সঙ্গত নয়।

আকিকার মাঝে দাওয়াত কোনো মূখ্য বিষয় নয়। বরং জন্তু যবেহ করাই আসল কাজ। যবেহের পর গোশত কাঁচা বা রান্না; যে কোনোভাবেই বণ্টন করা যাবে।

ব্যক্তির সুবিধার দিকে শরীয়ত দু’ রকমেরই অবকাশ দিয়েছে। কাজেই এক্ষেত্রে আড়ম্বরের নামে বিলম্ব করা কখনই উচিত হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য

এ জাতীয় আরো খবর.

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),

কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক

প্রধান কার্যালয়: ৫০৭/সি,  খিলগাও ঢাকা-১২১৯ । মোবাইল: ০১৭১৩৬১৫৫৩৩,০১৬১১২২৬৬৯৯ ইমেইল: contactbd7news@gmail.com
themebd7news6534333223
© All rights reserved 2016-2023, bd7news.com