ঢাকা    ০৪ মে ২০২৫ ইং | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

যে গ্রামে অবাধে শারীরিক সম্পর্কে উৎসাহ দেন বাবা-মা !

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯, ৬.৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৩৭৩ বার পঠিত

বিয়ে না করেই ছেলে-মেয়ে প্রেম করছে, এমনটা এখনো স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে না বাংলাদেশের গ্রাম সমাজের বাবা-মা। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে সময় দিতে যদি তারা চোখের সামনে ঘরের দরজা বন্ধ করে! অথবা মা-বাবাকে জানিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যায়! কিংবা চিরকাল লিভ-ইন পার্টনার হয়েই থাকতে চায়! এসব ভেবে হয়তো আঁতকে উঠবেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মা-বাবা।

কিন্তু জানেনকি এমন এক গ্রামের কথা, যেখানে প্রেম-যৌনতা অবাধ। মা-বাবা নিজেই তার সন্তানকে লিভ-ইন করতে বলেন। এখানেই শেষ নয়, পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে ‘লাভ হাটও (ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর)’ তৈরি করে দেন তারা। কম্বোডিয়ার ক্রেয়াং সম্প্রদায়ের লোকজন সমাজকে এভাবেই তৈরি করেছেন।

কম্বোডিয়ার উত্তর-পূর্বে একটি দ্বীপ অঞ্চলে ক্রেয়াংদের গ্রাম। যা ‘প্রেমের গ্রাম’ নামেই পরিচিত। প্রযুক্তি কিংবা আধুনিকতা; কোনো কিছুর ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। যেখানকার মানুষ শুধুই আধুনিক নন সাহসীও বটে। সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রেম করার, সঙ্গীর সঙ্গে রীতিমতো লিভ-ইন করার অবাধ সুযোগ এই গ্রামে। এটাই গ্রামের আইন।

মেয়েরা ঋতুবতী হলেই মা-বাবা তাকে সঙ্গী বাছাইয়ের স্বাধীনতা দেন। অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই লাগাম আলগা করে পরিবার।

ক্রেয়াংদের ছোট্ট গ্রামটি জলাশয়ে ঘেরা। সেই জলাশয়ে ওপর তৈরি করা হয় কুঁড়ে ঘর। যার নাম লাভ হাট। নিজ হাতে ছেলে-মেয়েদের জন্য ছোট্ট এই মাটির ঘর তৈরি করেন মা-বাবা। যাতে তাদের সন্তান সঙ্গীর সঙ্গে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারেন। বুঝে নিতে পারেন একে অপরকে। অনেক বছর ধরেই গ্রামটি এই নিয়মেই চলছে।

জেনে বুঝেই ভালোবাসার এই কুঁড়ে ঘর অনেকটা দূরে তৈরি করা হয়। যাতে প্রেমিক যুগল কোনো ধরনের অস্বস্তির মধ্যে না পড়েন। পরিবারের কেউ যাতে বিরক্ত না করে সেই দিকে সম্পূর্ণ খেয়াল রাখেন তাদের মা-বাবা। বিয়ে এই গ্রামে প্রচলিত নয়।
প্রেমিক-প্রেমিকা কয়েক মাস একে অপরকে বুঝে নেয়ার পরই শুরু করেন লিভ-ইন। সন্তানের জন্মও হয় লিভ-ইন সম্পর্কে থেকেই।

বাইরের দুনিয়ায় কী চলছে ক্রেয়াংদের কাছে তা অজানা। গ্রামে নেই বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি তো অনেক দূরের কথা। তবে, সমীক্ষা বলছে, যেথানে আমেরিকার মতো প্রথম বিশ্বের দেশেও ধর্ষণের ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে কম্বোডিয়ার ছোট্ট এই গ্রামে ধর্ষণ শব্দটাই অচেনা। কোনোদিন ধর্ষণের মুখে পড়েননি এই গ্রামের মেয়েরা। জোর করে যৌন সম্পর্কের ঘটনাও ঘটেনি।

রাতে এই গ্রাম শুধুই নিরাপদ নয়, বরং অনেক বেশি রোমান্টিক। সূর্য ডুবে যায়, আকাশের কমলা রং গায়ে মেখে গভীর প্রেমে ডোবেন ক্রেয়াংরা। টিম টিম করে জ্বলে কুঁড়ে ঘরের মোমবাতির আলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্তব্য

এ জাতীয় আরো খবর.

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),

কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক

প্রধান কার্যালয়: ৫০৭/সি,  খিলগাও ঢাকা-১২১৯ । মোবাইল: ০১৭১৩৬১৫৫৩৩,০১৬১১২২৬৬৯৯ ইমেইল: contactbd7news@gmail.com
themebd7news6534333223
© All rights reserved 2016-2023, bd7news.com