বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখতে পারল না নোয়াখালী এক্সপ্রেস। প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে তিক্ত শুরু করল নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের কাছে ৬৫ রানে পরাজিত হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের দল।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম রয়্যালস ৬ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাত্র ১৬.৫ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।
চট্টগ্রামের বড় পুঁজি আসে মূলত দলীয় প্রচেষ্টায়। মির্জা তাহির বেগ ৬৯ বল খেলে করেন সর্বোচ্চ ৮০ রান। তবে তার ইনিংসের গতি ছিল মন্থর। দ্রুত রান যোগ করেন শেখ মেহেদী, ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কেউ বড় স্কোর করতে না পারলেও অতিরিক্ত রান থেকে আসে ১৪।
নোয়াখালীর বোলারদের মধ্যে সাব্বির হোসেন নেন ২ উইকেট। হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান রানা শিকার করেন একটি করে উইকেট।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নোয়াখালী। ৮ ওভারে ৫৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ঝড়ো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি হাবিবুর রহমান সোহান, ৭ বলে করেন ১৪ রান। জাকের আলি ১২ বলে করেন মাত্র ৬ রান। নিলামে কোটি টাকা পাওয়া নাইম শেখও ব্যর্থ হন, ১১ বলে ১১ রান করে ফিরে যান। তিন নম্বরে নামা মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান, মাহমুদুল হাসান জয় করেন ১৭।
মাঝের দিকে মাজ সাদাকাত ও হায়দার আলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তাদের জুটিতে আসে ৩২ রান। সাদাকাত ২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর হায়দার আলি ২৪ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান। অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও ব্যর্থ হন, ৭ বলে করেন মাত্র ৫ রান।
চট্টগ্রামের বোলিংয়ে তানভীর ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সফল, নেন ৩ উইকেট। শরিফুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
এ জয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিপিএল শুরু করল চট্টগ্রাম রয়্যালস, আর বড় হারের হতাশা নিয়ে টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু হলো নোয়াখালী এক্সপ্রেসের।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক