টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকলের (নারিকেল গাছ) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, বাড়িতে আক্রমণ ও কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় আহত তিন কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একই অভিযোগ তুলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) ও বর্তমান মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন। এ ঘটনার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পক্ষে মামলা বাদী হয়ে শহীদুল্লাহ কায়সার মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সৈকত হাসান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল অভিযোগ করে বলেন, মেয়র শনিবার (০৯ জানুয়ারী) তার নির্বাচনের জন্য পৌর শহরের দর্জিরোড (খলিফা পট্টিতে) এক কর্মীসভার আয়োজন করে। হঠাৎ করেই তার কর্মীরা রাত পৌনে ৯ টার দিকে আমার এলাকার নির্বাচনী অফিসে গিয়ে হামলা চালায় এবং আমার বাড়ির সামনে গিয়ে আমার কর্মীদের আক্রমণ করে ঢিল ছুড়ে গালিগালাজ করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এর পরে পৌর শহরের নিউ মার্কেটের বিপরীতে জামালপুর রোডস্থ কেন্দ্রীয় আমার নির্বাচন অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় আমার কর্মীরা বেশ কয়েকজন আহত হয়। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও তিন জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়য়েছে।
তারা হলেন- নিজবর্ণি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে আলমাছ, বাদশা মিয়ার ছেলে মামুন, ইসমাইলের ছেলে আসাদ।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন জানান, নৌকার প্রচার করার সময় বিদ্রোহী প্রার্থী মনির বকলের কর্মীরা তার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদে উপর কোন আক্রমণ করেনি তার কর্মীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি ইভিএমএর মাধ্যমে ধনবাড়ী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির এসএমএ সোবহান এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা যুব লীগ সভাপতি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল (নারিকেল গাছ) ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী কিসলু (জগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এছাড়া ৯টি সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ২৮ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিন্ধন্ধীতা করছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক