থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশটির সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
এর আগে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতার সঙ্গে তার ফোনকলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার কারণে আদালত তাকে সাময়িকভাবে পদ থেকে স্থগিত করেছিল।
শুক্রবার আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি পুরোপুরি ক্ষমতাচ্যুত হন।
পেতোংতার্ন ২০২৪ সালের আগস্টে দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পরই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। সিনাওয়াত্রা পরিবার থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
ফাঁস হওয়া ফোনকলে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গেছে। সেই সময় তিনি তার নিজের দেশের সেনাবাহিনীকে সমালোচনা করে বলেন, তার সেনাদের কারণে কম্বোডিয়ার এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। ফোনকলটি ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এর কয়েক মাস পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থেমে যায়।
ফোনকলে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পেতোংতার্ন আরও বলেন, “যে কোনো কিছু চাইলে আমাকে বলবেন, আমি বিষয়টি দেখব।” এই মন্তব্য নিয়েই প্রধানত সমালোচনা জন্মে। দেশের সীমান্তে উত্তেজনার সময় ফোনকলটি ফাঁস হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতিও প্রবল হয়। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে, তিনি গোপনে থাইল্যান্ডের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন।
পরবর্তীতে তিনি সাধারণ জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং জানান যে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য তিনি এভাবে কথা বলেছিলেন। তবে ১ জুলাই সাংবিধানিক আদালত তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে স্থগিত করে। বর্তমানে তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।
সূত্র: সিএনএন
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক