আলুকে তিন বছরের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা করেছে সরকার। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩ বছরের জন্য আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা করে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে আলুর নতুন কোনো জাত কৃষকের হাতে পৌঁছাবে।
বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘বীজ আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০০তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আলুকে অনিয়ন্ত্রিত সফল ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তিন বছরের বাস্তব ফলাফল পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বর্তমানে ধান, গম, পাট, আখ, মেস্তা ও কেনাফ নিয়ন্ত্রিত ফল হিসেবে বিবেচিত হয়।
‘বীজ আইন, ২০১৮’ এর ‘বীজের জাত ও মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা’ সংক্রান্ত ৭(২) ধারায় বলা হয়েছে- ‘সরকার, বোর্ডের (জাতীয় বীজ বোর্ড) সহিত পরামর্শক্রমে, যদি এই মর্মে মনে করে যে, কোনো ফসল বা জাতের বীজ বিক্রয়, বিতরণ, বিনিময়, আমদানি ও রফতানি বা অন্য কোনোভাবে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বা সমীচীন, তাহা হইলে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ফসল বা জাতকে নিয়ন্ত্রিত ফসল বা জাত হিসেবে নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং ভিন্ন ভিন্ন এলাকার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফসল বা জাত নিয়ন্ত্রিত হিসেবে নির্ধারণ করিতে পারিবে।’
বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন আলু বীজের নতুন কোনো জাত বাজারে আসতে তেমন কোনো বিধি-নিষেধ থাকল না। নিয়ন্ত্রিত ফসলের ক্ষেত্রে নতুন কোনো জাত কৃষকের কাছে পৌঁছানোর আগে বীজ বোর্ডের অনুমোদনসহ নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায়। আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফল ঘোষণা করায় এখন এক বছরের মধ্যেই আলুর নতুন জাত কৃষকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর প্রচুর আলু উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু আলুর জাত উন্নতমানের না হওয়ায় আলু রফতানি করা যায় না। তাই চাহিদার তুলনায় বেশি রফতানি হওয়ায় কৃষক আলুতে ন্যায্যমূল্যও পায় না। আলুর নতুন নতুন উন্নত জাত যাতে দ্রুত কৃষকের হাতে যায়, সেজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হলো।’
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক