দেশের লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা দুই মাস আগে থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সার্বিকভাবে আমাদের অনেক কিছুই দেখতে হয়। অর্থনৈতিক একটা বিষয় আছে। তেল ও গ্যাসের যোগানের বিষয় আছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- আগামী দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস এবং বিশেষ করে ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধ তার ওপর স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক দিকে দ্রব্যমূল্য মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ নেই- এই দুটো কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে। আর একবার যদি বিদ্যুতের পাঙ্খায় বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় তারপরে না পেলে তো আরও কষ্ট হয়ে যায়। এটাও তো বাস্তব কথা।
রোববার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চিলাহাটি এক্সপ্রেসের উদ্বোধনকালে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলাম। আজকে সারা বিশ্বব্যাপী গ্যাস, তেল, কয়লা সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। কারণ এখন টাকা দিয়েও জ্বালানি কেনা যাচ্ছে না। যার জন্য আমি জানি এই গরমে মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রেজাউল হক(রনি),
কারিগরি সহযোগিতায়: অক্ষ টেক